27.4 C
Bangladesh
Thursday, June 12, 2025
HomeEXPOSUREBANGLADESH 2.0কেমন বাংলাদেশ চাই

কেমন বাংলাদেশ চাই

Date:

Related stories

দেড় দশকে ২৮ উপায়ে দুর্নীতি হয়েছে দেড় দশকে

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে উন্নয়নের বয়ান দেওয়া...

বাংলাদেশের দুর্নীতি: চরিত্রের পরিবর্তন, শাসনব্যবস্থার প্রভাব এবং প্রতিরোধের উপায়

বাংলাদেশে দুর্নীতি আজ এক গভীর সামাজিক ব্যাধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত...

গত ৩ নির্বাচনে যারা অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত: বদিউল আলম

গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা অপরাধ করেছে, তাদের...

আগামী ২ মার্চের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি

আগামী বছরের ২ মার্চের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে...

জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড....
spot_imgspot_img

স্বাধীন-সার্বভৌম দেশটির সাংবিধানিক নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’। যেখানে রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের ওপর ন্যস্ত থাকে। যেখানে সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত নিয়ম ও প্রতিষ্ঠান দ্বারা ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অধিকার সুরক্ষিত থাকার কথা। শাসন, আইন ও বিচার বিভাগ- রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভ গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনসহ জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখবে। আর যে গণমাধ্যমকে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়- তারা প্রজাতন্ত্রে সুশাসন নিশ্চিত হচ্ছে কি না তার নির্মোহ পাহারাদারের ভূমিকা পালন করবে। দেশ এগিয়ে যাবে, মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। অর্থনৈতিক মুক্তি মিলবে জাতির। এমন বাংলাদেশই আমরা চাই। এ লক্ষ্যেই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তিপ্পান্ন বছর পর স্বাধীন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে, বুকে-মাথায় লাল-সবুজের গর্বিত পতাকা নিয়ে আরও এক রক্তরঞ্জিত বিজয় অর্জন করল দেশের তেজোদীপ্ত তারুণ্য। তাদের দৃঢ় প্রত্যয়ের পাশে এসে দাঁড়ানো স্বতঃস্ফূর্ত জনতার অকুণ্ঠ সমর্থন জন্ম দিল এক উজ্জ্বল ‘চব্বিশ’ এর। যাকে বলা হচ্ছে দ্বিতীয় বিজয়। এখন নতুন বাংলাদেশ গঠনের আলোচনা চারদিকে। কেমন বাংলাদেশ চায় আপামর জনগণ? যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি অঙ্কুরেই বিনষ্ট করার পদ্ধতি চালু থাকবে। দুরাচার-দুঃশাসনের কণ্ঠরোধ হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগই থাকবে না। সুষ্ঠু ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে, জাতিকে মননে-মেধায়-চর্চায় সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তুলতে হবে। না হলে বারবার সরকার বদলে ‘গরম কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায়’ পড়ার অবস্থা হবে; মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত লক্ষ্য অর্জিত হবে না। এই কাজগুলো করতে অন্তর্বর্তী সরকার সচেষ্ট থাকবে বলে আশা করি। বৃহতের শপথ ও সাধনা তাদের, লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে চলবে না। কারণ আজ যারা ভালোবাসা, সম্মান ও শ্রদ্ধায় মাথায় তুলে নিয়েছেন সমাজ-রাষ্ট্র থেকে বৈষম্য-অনাচার-অবিচার, দুরাচার-দুঃশাসন-দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে সর্বস্তরে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায়, এতে ব্যর্থ হলে অদূর ভবিষ্যতে কেউ কিন্তু কাউকেই ছেড়ে কথা বলবে না।

Subscribe

- Never miss a story with notifications

- Gain full access to our premium content

- Browse free from up to 5 devices at once

Latest stories

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here