প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কখন নির্বাচন হবে, সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে, আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ই আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ক্ষমতায় মেয়াদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা বিষয়ে সবাই জানতে আগ্রহী, কখন আমাদের সরকার বিদায় নেবে। এটার জবাব আপনাদের হাতে, কখন আপনারা আমাদের বিদায় দেবেন।’
জিম্মি করে দাবি আদায় না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনই সব দাবি পূরণ করার জন্য জোর করা, প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যক্তিবিশেষকে হুমকির মধ্যে ফেলা, মামলা গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা, বিচারের জন্য গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আদালতে হামলা করে আগেই একধরনের বিচার করে ফেলার যে প্রবণতা তা থেকে বের হতে হবে।’
এছাড়া সংকটকালে দেশকে উত্তরণে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা, আইন-শৃঙ্খলা খাত এবং তথ্যপ্রবাহে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পূর্ণ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করার কথা জানান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে চায় এবং সব ধরনের সহযোগিতা করতে চায় বিএনপি। তবে সেটি হতে হবে যৌক্তিক সময়।
মির্জা ফখরুল বলেন রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামীলীগ ধ্বংস করে দিয়েছে শেখ হাসিনার তিনবার একতরফা নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করে আর কোন কাজ হবে না। ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্র চায়, স্বাভাবিক জীবন চায়।